সিত্রাংয়ের জোয়ারে ডুবল খাতুনগঞ্জ-চাক্তাই, কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতি |
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে ডুবেছে দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম পাইকার খাতুনগঞ্জ এবং চাক্তাই। হঠাৎ সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে দেশের বৃহৎ এ বাজারের সিংহভাগ আড়ত এবং গুদামে থাকা বেশির ভাগ ভোগ্য পণ্য। এতে করে ব্যবসায়ীদের শত শত কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হয়েছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাট্রিজের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাত নয়টার দিকে পানি আসা শুরুর করে। হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে তা বাড়তে থাকে। এক ঘণ্টাও লাগেনি পুরো এলাকার বিভিন্ন দোকান-গুদাম ডুবতে। রাতের বেলা অনেক দোকান ও গুদাম বন্ধ ছিল। শ্রমিকরাও ছিল না। ফলে দোকান-গুদামে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের কারণে বিভিন্ন সময়ে খাতুনগঞ্জে পানি উঠলেও তা এতো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে না। বর্ষায় জোয়ারে হাঁটু পরিমাণ পানি উঠলেও সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারে কোমড় পরিমাণ পানি উঠেছে। গত কয়েক দশকে এমনটি ঘটেনি।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে আমাদের দোকান ও গুদামে থাকা পণ্যের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নিচের দিকে থাকা তিন থেকে চার বস্তার স্তরপানিতে ভিজেছে। এতে করে পণ্যগুলোর গুণগত মানও নষ্ট হয়ে গেছে। সব ব্যবসায়ীদের একই দশা। সবমিলিয়ে এক রাতেই আমাদের কয়েকশ কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। তবে পানিতে কোন পণ্য ভেসে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেনি।’
জানা গেছে, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে বেড়ে যায় পানির স্তর। রাত নয়টায় শুরু হঠাৎ জোয়ারে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তলিয়ে গেছে পুরো এলাকা। রাত জুড়ে কখনও তা বেড়েছে, কখনও তা কিছুটা কমেছে। এতে করে তলিয়ে যায় খাতুনগঞ্জ, চাক্তাইসহ আশপাশের কিছু এলাকা। পানির কারণে দোকান ও গুদামে থাকা পণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে চাল, ডাল, হলুদ, আদা, পেঁয়াজ, রসুনসহ ভোগ্য পণ্য ভিজে যায়। মঙ্গলবার ভোরে ঝড় থেমে বৃষ্টি বন্ধ হলে আর ভাটার টানে পানি নেমে গেলে একটু একটু করে কেনাবেচায় ফিরতে শুরু করে আড়তগুলো। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে রাস্তায় জমে থাকা পানি আর কাদা মাড়িয়ে আসতে শুরু করেছেন পাইকার আর দোকানিরা।
0 মন্তব্যসমূহ