কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামে জনৈক আকতার হোসেনের বসতঘরে অভিযান চালিয়ে মানবপাচারের শিকার ২ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যরা আটক করেছে।
১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২৯ জুলাই) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে টেকনাফ সদর সংলগ্ন বড়ইতলী গ্রামে জনৈক আকতার হোসেনের বসতঘরে আটক করে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চাকমারকুল এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্স বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পাচারের শিকার টেকনাফ হোয়াইক্যং চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-এ/৫ এর বাসিন্দা মৃত ওসমানের ছেলে ভিকটিম মোহাম্মদ আলী (২১) ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল কাশেমের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকাকে (২০) উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে মানবপাচারের সহিত জড়িত চাকমারকুল ২১ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-এ/৬, ঘর-৯৪, এফসিএন-২৩০৮৬৬ এর বাসিন্দা সবু ইসলামের ছেলে রোহিঙ্গা মো. দেলোয়ার হোসেন (২২), টেকনাফ সদরের বড়ইতলী এলাকার মৃত নুর হোসেনের ছেলে স্থানীয় আকতার হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার শহিদুল ইসলামের আনোয়ার হোসেনকে (৩২) আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
0 মন্তব্যসমূহ