কুমিল্লা সদর উপজেলায় দুই রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার-নগদ টাকা লুটে নেয়। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন আহত হয়।
শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুর রহমান।
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দুতিয়ারদিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মোঃ ছাদেকুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগরাত আড়াইটার সময় তার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয় দেয়। তাদের পরনে ছিলো ভিআইপি আন্ডারওয়্যার, স্যান্ডু গেঞ্জি ,মুখে মাস্ক এবং হাতে ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও তালা ভাঙ্গার মেশিন। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের রশি দিয়ে বেঁধে ঘরে থাকা নগদ ৫৩ হাজার টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণ, দুটি টর্চলাইট ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ছোট ছেলের একটি আঙ্গুল কেটে যায়।
একই রাতে পার্শ্ববর্তী বাঁশমঙ্গল গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মকবুল আহমেদের ঘরেও হানা দেয় ডাকাত দল। মকবুল জানান, তার একতলা পাকা দালানের পাশে গাছ বেয়ে ছাদে ওঠে ডাকাতদল। পরে ছাদের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে তার দুই ছেলের বউ, এক নাতি ও তাকে বেঁধে ঘরে থাকা দুটি মোবাইল ফোন, ৪ জোড়া কানের দুল, একটি গলার হার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তার পাঁচ ছেলের সবাই প্রবাসে থাকেন। নিজের স্ত্রী ও দুই ছেলের বউ নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে পার্শ্ববর্তী শালুকমুড়া এলাকায় মজিবুর রহমানের ঘরে একই রকম পোষাক ও অস্ত্র নিয়ে অন্তত ১৫ জনের একটি ডাকাত দল হানা দেয়। মজিবুর রহমান জানান, তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে নগদ ১৮ লাখ টাকা, ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা সোহান সরকার বলেন, অনেক বছর ডাকাতির ঘটনা বন্ধ ছিলো। এখন আবার শুরু হয়েছে। যেসব বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে সেসব বাড়ির কর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের থেকে সব তথ্য উপাত্ত নিয়েছি। ওই ডাকাতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ