নীলফামারীতে তিস্তার পানি কমেছে


 নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি কমেছে। বিপৎসীমার নিচে নামার এক সপ্তাহ পর বুধবার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৭ সেণ্টিমিটার ওপরে উঠে। তবে বৃহস্পতিবার পানি কমে বিপৎসীমার ৩০ সেণ্টিমিটার নিচে নেমে গেছে।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার।

এর আগে ১৭ জুন চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রথমবারের মতো তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২০ জুন সেখানে সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সে সময় সৃষ্ট বন্যায় তিস্তা নদী বেষ্টিত ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ২০টি চর ও গ্রামের ১০ সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছিলেন। ২২ জুন থেকে দফায় দফায় পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

পাউবো সূত্রমতে, গত ১২ জুন থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে বাড়া-কমা করছিল। ১৭ জুন প্রথমবারের মতো বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ২০ জুন সেখানে সর্বোচ্চ ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি কমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বুধবার আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করে। 

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, “বুধবার তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। বৃহস্পতিবার পানি কমে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে যেকোনও মুহূর্তে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।”

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, বৃহস্পতিবার পানি কমে গেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, “তিস্তা নদীর পানি বিকাল তিনটায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব ক’টি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।”


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ