পরকীয়া সম্পর্কের জেরে খুন। প্রেমিক সম্পর্ক ভাঙতে না চাওয়ায় তাকে ফোন করে ডেকে এনে খুনের অভিযোগ উঠল পরকীয়া প্রেমিকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটের হাড়োয়া থানার গোপালপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের গোপালপুর দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই বধূ, তার স্বামী, বাবা ও বোনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাড়োয়ার গোপালপুর দাসপাড়ার মেয়ে চম্পা রুইদাসের বিয়ে হয়েছিল আসানসোলে। তার স্বামী গৌতম রুইদাস পেশায় অটোচালক। গৌতমের বন্ধু স্বরূপের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন চম্পা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পারিবারিক ঝামেলার জেরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন চম্পা। তবে তাতে রাজি ছিলেন না স্বরূপ। গত শুক্রবার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন চম্পা। অভিযোগ, সেখানেই স্বরূপকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি ও গৌতম।
চম্পার ফোন পেয়ে রবিবার রাতে স্বরূপ হাড়োয়ায় পৌঁছান। অভিযোগ, রবিবার রাতেই স্বরূপের মাথা হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়। এরপর তার দেহ প্লাস্টিক বস্তা চাপা দিয়ে আমবাগানে ফেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খুনের অভিযোগে পুলিশ চম্পা, তার স্বামী গৌতম, বাবা খোকন সাহা ও বোনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের দাবি, জেরায় তারা খুনের কথা স্বীকার করেছেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছাড়াও অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চম্পার মায়ের বক্তব্য, ‘‘ওই ছেলেটি আমার জামাইয়ের প্রতিবেশী। মেয়ে আমাদের বাড়িতে এলে ওই ছেলেটাও আসত। ওই ছেলেটা বলত, ‘তোকে আমি স্বামীর ঘর করতে দেব না।’ এবার আমার মেয়ে-জামাই আগে এসেছিল। পরে ওই ছেলেটা একা একা এসেছিল।’’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
0 মন্তব্যসমূহ