বরগুনা পৌরসভার গ্রীন রোডে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর ও শাশুড়িকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সাইমুল ইসলাম রাব্বী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অভিযুক্ত তিনজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত অপরাধের ধরন গুরুতর বিবেচনায় আসামি রতন বণিক, তার বাবা বাবুল বণিক ও মা গীতা বণিকের জামিন আবেদন বাতিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার জগদীশ বণিকের মেয়ে বীথি বণিকের সাথে বরগুনার গ্রীন রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বাবুল বণিকের ছেলে রতন বণিকের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার যৌতুক দেওয়া হয় রতন বণিককে। রতন বণিক রাজধানীর কমলাপুর কাস্টমস শুল্ক ও কর আদায়ী প্রতিষ্ঠানের আইসিডির ট্রাফিক ইনেসপেক্টরে দায়িত্বরত।
বিবাহের দ্বিতীয় বছর পর বীথির ওপর শুরু হয় স্বামীর নির্যাতন। একপর্যায়ে নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে বীথি। ঘর তোলার জন্য ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে রতন। বীথি এই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় রতন, তার বাবা ও মা নির্যাতন শুরু করে তার ওপর।
১১ মে রতন ও তার বাবা-মা নির্যাতন করলে চিৎকারে এলাকাবাসী দরজা ভেঙে বীথিকে আহত অবস্থায় উদ্বার করে বরগুনা থানায় খবর দেয়। পরে বীথিকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়। ১৬ মে বীথির মা করুনা বণিক বাদী হয়ে রতন, তার বাবা বাবুল বণিক ও মা গীতা বণিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
0 মন্তব্যসমূহ