এতো বড় পরিসরে তৃণমূল পর্যায়ের সাংবাদিকদের যে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে এটা আমার কাছে অত্যন্ত ভালো লাগছে। আসলে আমরা তো সবসময় দেখি ঢাকা কেন্দ্রিক সকল স্বীকৃতি দেওয়া হয়, কিন্তু এই যে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে এতে করে তারা অনুপ্রেরণা পাবে।
কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এর অনুষ্ঠানস্থলে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
নিপুণ বলেন, এই যে দেখছি সারাদেশ থেকে, জেলা পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক এসেছেন। এখানে এসে এই আয়োজন ভালো লেগেছে। আমি সত্যিই অভিভূত। এমন আয়োজন আশা করি অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের মতো সাংবাদিকদের জন্য এমন স্বীকৃতি দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় একটি নতুন দিগন্ত তৈরি করবে।
দেশের গণমাধ্যমে গত বছর প্রকাশিত ও প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিচার বিশ্লেষণ করে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এ ছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে সাংবাদিকতা প্রসারে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে ৬৪ জন প্রবীণ ও গুণী সাংবাদিককে দেয়া হচ্ছে বিশেষ সম্মাননা।
এর মধ্য দিয়ে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ঘিরে সাংবাদিকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। কারা পাচ্ছেন বহুল প্রতীক্ষিত এই পুরস্কার-এ নিয়ে ছিল ব্যাপক উদ্দীপনা। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ঢাকার সাংবাদিকরা ছাড়াও মফস্বল থেকে প্রচুর প্রতিবেদন জমা পড়ে। পুরস্কারের পুরো প্রক্রিয়াটি হয়েছে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত। এ লক্ষ্যে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক মানের জুরি বোর্ড।
অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমানের নেতৃত্বে জুরি বোর্ডে ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সম্প্রচারে আসার অপেক্ষায় থাকা টেলিভিশন চ্যানেল ‘টিভি টুডে’র প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব, আলোকচিত্রী ও লেখক নাসির আলী মামুন, চলচ্চিত্র শিক্ষক গবেষক ও পরামর্শক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, দেশে বিদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া জুলফিকার আলি মাণিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার।
0 মন্তব্যসমূহ