লক্ষ্মীপুরে পৃথক মামলায় দুই জনের কারাদণ্ড


 

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৫ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট রাখার দায়ে হুমায়ুন কবির নামে এক বৃদ্ধের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদিকে ৫২ পিস ইয়াবা রাখার দায়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের আনোয়ার হোসেন প্রকাশ টাইগার সুমনকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্তদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম পৃথক এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চর কাদিরা গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে। মাদক মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার শাহ আলম নান্টু মিয়ার ছেলে। 
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৪ জুলাই রাতে হুমায়ুন চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজুমিয়ার হাটে একটি ফার্মেসিতে জাল টাকা নিয়ে বসে ছিল। বিষয়টি থানার ডিউটি অফিসার থেকে জানতে পেরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে হুমায়ুনের পড়া পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ১ হাজার টাকার ৩টি, ৫০০ টাকার ১টি নোট উদ্ধার করা হয়। এরআগে ফার্মেসীর দোকান থেকে ওষুধ কেনার সময় ২০০০ টাকা দেয় হুমায়ুন। দোকানিকে দেওয়া দুটি ১ হাজার টাকার নোটও জাল ছিল। ওই নোটগুলোও পুলিশ জব্দ করে। ঘটনাস্থলেই হুমায়ুন স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন ধরেই জাল টাকা নিজের কাছে রেখে পণ্য ক্রয় করে কৌশলে মানুষের সঙ্গে তিনি প্রতারণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন আমির হোসেন বাদী হয়ে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম একই বছর ১৩ সেপ্টেম্বর হুমায়ুনের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। 

অপরদিকে ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর রাতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানের সময় সদর উপজেলার টুমচর বাজার থেকে আনোয়ারকে আটক জেলা গোয়ান্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার কাছ থেকে পলিথিন মোড়ানো ৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ পাহলান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই এহতেশামুল হক ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আনোয়ারকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, জাল টাকা রাখার দায়ে হুমায়ুনকে ও ইয়াবা রাখার দায়ে আনোয়ারকে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রায়ের সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ