জাতীয় তেল পাইপ লাইনের গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু


 

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জাতীয় তেল পাইপ লাইনের গর্তে পড়ে ইসমাইল হোসেন নাঈম (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের উত্তর পাড়ার ভুঁইয়া বাড়ির প্রবাসী খোকন ভুঁইয়ার ছেলে। নাঈম দেড়কোটা নূরানি মাদ্রাসার ১ম জামাতের ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় তেলের লাইনের দেড়কোটা এলাকায়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দেড়কোটাসহ বিশাল একটি অংশজুড়ে জাতীয় তেল পাইপ লাইনের কাজ চলমান রয়েছে। পাইপগুলো ঢেকে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফসলি জমি থেকে গভীর গর্ত করে মাটি তোলা হচ্ছে। প্রতিটি গর্ত প্রায় ৮-১০ ফুট পর্যন্ত গভীর। শিশু নাঈম পাইপ লাইনের গর্তগুলো দেখতে গিয়ে অসাবধানতা বশত পড়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। 

নিহতের জেঠাতো ভাই পল্লী চিকিৎসক ফরিদ আহমেদ জানান, দুপুর ১টায় আমার আরেক ভাতিজিসহ ইসমাইল ঘর থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর ভাতিজি বাড়িতে এসে চিৎকার দিয়ে জানায় ইসমাইল গর্তে পড়ে গেছে। আমরা সাথে সাথে তেলের পাইপলাইনের সামনে গিয়ে ড্রেন থেকে ইসমাইলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহফুজ মজুমদার বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তেলের লাইনের গর্তে পাইপ ঢুকানোর পর মাটি ভরাট করেনি। যার কারণে শিশু নাঈম গর্তে পড়ে মারা যায়। আমরা সরকারের কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ও নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি করছি। 

জাতীয় তেল লাইনের কুমিল্লা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, পাইপ লাইনের কাজ শুরু করার আগে বিশাল এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করার নিয়ম রয়েছে। সে বেষ্টনীর ভেতরে কোনো সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না। পাইপ লাইনের পাশে যদি গর্ত করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গর্তগুলো ভরাট করে দিতে হবে। এটা জাতীয় তেল পাইপ লাইনের নিয়ম। দায়িত্ব অবহেলা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ